গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমে আয় করার উপায়
ডিজিটাল বিশ্বে অন্যান্য স্কিল এর পাশাপাশি ব্যাপক চাহিদা রয়েছে গ্রাফিক ডিজাইন সম্পর্কিত স্কিলের। আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন পারেন, তবে ঘরে বসে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমে আয় করতে পারেন। (কথাটা যদিও গ্রাফিক ডিজাইন, তবে আমাদের দেশে গ্রাফিক্স ডিজাইন নামে পরিচিত হয়ে গেছে। আমরা এখানে উভয় শব্দই ব্যবহার করছি।
গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কিত কিছু সাধারণ প্রশ্ন সবার মনেই থাকে। যেমনঃ
1. গ্রাফিক্স ডিজাইন কি?
2. গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমে আয় করার উপায় কি?
3. অনলাইনে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে টাকা আয় করার উপায় কি?
4. গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করার উপায় কি?
5. ঘরে বসে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ করে আয় করা সম্ভব কি?
আমরা খুঁজেছি আপনাদের এইসব প্রশ্নের উত্তর আর খুঁজে বের করেছি ১০টি উপায় যার মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ করে আয় করা যাবে।
গ্রাফিক ডিজাইন কি?
গ্রাফিক ডিজাইন হচ্ছে একটি পেশা বা একাডেমিক ক্ষেত্র যেখানে কলা (আর্ট) এবং বিভিন্ন উপকরণের মাধ্যমে কোনো একটি ধারণা দৃশ্যমান করে তুলে ধরা হয়। আমরা যে বিভিন্ন কোম্পানির লোগো দেখি কিংবা বিভিন্ন রকমের বিজ্ঞাপনের ছবি দেখি, গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমে এগুলো (অন্তত বিশাল একটা অংশ) করা হয়।
গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমে আয় করার উপায় জানার আগে অবশ্যই নিশ্চিত করুন আপনার কাজের মান। এক্ষেত্রে গ্রাফিক্স ডিজাইন ভালো বুঝে, এমন একজনকে মেন্টর হিসেবে রাখতে পারেন। এছাড়াও গ্রাফিক্স ডিজাইন করে আয় করতে গেলে অবশ্যই দরকার পড়বে একটি কম্পিউটারের।এবার চলুন জেনে নেয়া যাক গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমে আয় করার উপায়সমুহ সম্পর্কে।
কাছের মানুষজন
গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে আয়ের যাত্রাটা শুরুতে তেমন একটা সহজ নয় কিন্তু। তবে এই ক্ষেত্রে পরিবার ও বন্ধু বেশ কাজে আসতে পারে। খোঁজ নিয়ে দেখলেই জানতে পারবেন পরিচিতদের মধ্যেই অনেকেরই গ্রাফিক ডিজাইনিং সার্ভিসের প্রয়োজন পড়ে।
শুরুটা করুন কাছের মানুষজনের সাহায্য নিয়েই। তাদের জানান আপনার কাজ সম্পর্কে। এছাড়াও পরিবার ও বন্ধু হিসেবে আপনি চাইলে তাদেরকে ছোটোখাটো ডিসকাউন্ট দিতে পারেন। এতে আপনার কাজের পরিধি ও আয় বাড়ার সাথে সাথে বন্ধু ও পরিবারের পরিচিতদের থেকে আপনার কাজ পাওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে।মুখে-মুখে প্রচারের চেয়ে সেরা প্রচার আর হয় না। আপনার পরিবার ও বন্ধুদের ভালো কাজ করে দিয়ে তাদের বলুন সম্ভব হলে তাদের পরিচিতদের আপনার কাজ সম্পর্কে জানাতে। এভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
ফ্রিল্যান্সিং করে গ্রাফিক ডিজাইন থেকে ইনকাম
অন্যসব স্কিলের মতো গ্রাফিক্স ডিজাইন এর ক্ষেত্রেও ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা সম্ভব। ফ্রিল্যান্সার, পিপল পার আওয়ার, আপওয়ার্ক এর মতো ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে খুব সহজেই একাউন্ট খুলে আপনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ দেখে বিডিং করে কাজ পেতে পারেন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে।
কোনো কাজ বা প্রজেক্ট পেতে হলে অবশ্যই আপনার একটি পোর্টফোলিও থাকা জরুরি। এছাড়াও পুর্বে করা কাজসমূহও তুলে ধরতে পারেন, যা কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে কাস্টমারকে আপনার দিকে সহজেই আকৃষ্ট করবে। এক্ষেত্রে পোর্টফোলিও তৈরি করার জন্য ড্রিবল (Dribbble), বিহ্যান্স (Behance) প্রভৃতি সাইট ব্যবহার করতে পারেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন সার্ভিস
ফাইভার এর মতো একটি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন ধরনের গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কিত সার্ভিস সেল করা যায়। এছাড়াও নির্দিষ্ট গ্রাফিক ডিজাইন সার্ভিসকে কেন্দ্র করে সার্ভিস প্যাকেজ অর্থাৎ গিগ তৈরী করতে পারবেন। আপনি যদি অভিজ্ঞ গ্রাফিক ডিজাইনার হন, সেক্ষেত্রে একাধিক গ্রাফিক্স ডিজাইন সার্ভিস প্রদানে আপনার সমস্যা হওয়ার কথা না। তৈরী করুন নির্দিষ্ট সেবাভিত্তিক গিগ, যেমনঃ
• প্রতিষ্ঠান বা কোনো ব্যাক্তির জন্য লোগো তৈরী
• বিজনেস কার্ড তৈরী
• ফ্লায়ার তৈরী
• ব্যানার তৈরী
• বিজ্ঞাপন তৈরী, ইত্যাদি
আপনার সার্ভিস যাদের প্রয়োজন হবে, তারা আপনার গিগ দেখে ইন্টারেস্টেড হলে আপনি কাজ পেয়ে যাবেন অল্প সময়েই। ফাইভার এ ৫ ডলার থেকে শুরু করে হাজার হাজার ডলার মূল্যের গিগ সেট করতে পারেন।
এছাড়াও আপনি যদি সবেমাত্র ফাইভারে গিগ খুলে থাকেন, সেক্ষেত্রে ইতিমধ্যে শীর্ষে থাকা গিগগুলোকে অনুসরণ করে গিগ তৈরী করতে পারেন।
এনভাটো অথোর
এনভাটো হলো একাধিক মার্কেটপ্লেসের সমন্বয়ে গঠিত একটি নেটওয়ার্ক যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষজন তাদের ডিজিটাল অ্যাসেট ও সার্ভিস বিক্রি থাকেন। ফটোশপে করা এডিটেড ফটো থেকে শুরু করে ওয়েবসাইটের জন্য তৈরী স্ক্রিপ্ট পর্যন্ত সবকিছুই বিক্রি সম্ভব এনভাটো মার্কেটে।
এনভাটো মূলত অনেকগুলো সাইটের একটি নেটওয়ার্ক। গ্রাফিকরিভার এইসব ওয়েবসাইটের মধ্যে একটি। মূলত ডিজাইনারদের তৈরী লোগো, আইকন, ফন্ট, ভেক্টর, বিজনেস ফ্লায়ার এবং অন্যান্য গ্রাফিক অ্যাসেট বিক্রি হয়ে থাকে গ্রাফিকরিভার ।
নাইস